,

মান অভিমান ভ‚লে মিলাদের পক্ষে ভোটের মাঠে প্রচারণায় এমপি কেয়া ও মুশফিক

নৌকাকে বিজয়ী করতে দিনব্যাপী ১২ টি পথসভা

মতিউর রহমান মুন্না :: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে নৌকাকে বিজয়ী করতে দীর্ঘদিনের বৈরিতা মান অভিমান ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। একসাথেই আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজীর পক্ষে ভোটের মাঠে প্রচারণায় নেমেছেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী তারা গাজী শাহনওয়াজ মিলাদকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১২ টি পথসভা ও গনসংযোগ করে নৌকায় ভোট চান। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার ১ নং বড় ভাকৈর ইউনিয়নের চৌকি বাজার, হলিমপুর বাজার, ফার্মের বাজার, বাল্লারহাট, মাধবপুর বাজার, সোনাপুর বাজার, জগন্নাথপুর বাজার, কাজিরবাজার, নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, পূর্ব তিমিরপুর, ইমামবাড়ি বাজার, স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পথসভায় তারা বলেন, নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে মাঠে নেমেছি। বর্তমান সরকার দেশের সাধারন মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকল ভেদাভেদ ভুলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ বাহুবল আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
বিভিন্ন পথসভাগুলোতে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল ফজল, দপ্তর সম্পাদক অনুব দেব মনা, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য রওশন জেবিন রুবা গাজী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদ, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ইউসুফ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, মুজিবুর রহমান কাজল, কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, রিজভী আহমদ খালেদ, রবীন্দ্র কুমার পাল, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সুমঙ্গল দাশ সুমন, নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজ্বী মোজাহিদ আলম, সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল, ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসা, উপজেলা তাতীলীগের আহবায়ক মোঃ ফারুক মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সত্যজিত দাশ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আক্তার হোসেন ছোবা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মেহের আলী মহালদার, ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন গৌতম কুমার দাশ, পৌর কাউন্সিলর প্রানেশ দেব, ইউপি সদস্য সুজিত দাশসহ উপজেলা আওয়ামীলী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, তাতীলীগ, মহিলালীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

25-12= 1
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পথসভায় অন্যান্যে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক লোকমান আহমদ খান, রাব্বি আহমদ মাক্কু, গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল, নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এডভোটে আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, উপজেলা রামকৃষ্ণ সংঘের সাবেক সভাপতি অশোকতরু দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক বিধান ধর, প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির, মুক্তিযোদ্ধা মৌলদ হোসেন কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অঞ্জন পূরকাস্থ, ছালিক মিয়া, অমলেন্দু সূত্রধর, হরেকৃষ্ণ চক্রবর্ত্তী, মৃনাল কান্তি রায় মিনু, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি প্রমথ চক্রবর্ত্তী বেনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি দুলাল চৌধুরী, কৃষকলীগ নেতা সুজিত পাল, শিক্ষক শিলাপদ দাশ, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা পিন্টু, পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বেলাল, উপজেলা তাতীলীগের সদস্য সচিব প্রনব দেব, পৌর তাতীলীগ আহবায়ক সমর গোপ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদ রাকিল হোসেন, উপজেলা মহিলালীগের সভাপতি দিলারা হোসেন, সাধারন সম্পাদক শেখ ছৈইফা রহমান কাকলী, পৌর মহিলালীগের আহবায়ক অনিতা দাশ, খালেদা গাজী, নাজনীন চৌধুরী। সভায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহনেওয়াজ মিলাদ বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা  শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে অর্থমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার পিতাকে বিএনপি জামায়া জোট চক্র গ্রেনেড  মেরে হত্যা করেছিল। তার সন্তান ড. রেজা কিবরিয়া এখন তার বাবার রক্তের সাথে বেঈমানী করে ঐ চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছে। তাই জনগন তাকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে বয়কট করবেন। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নবীগঞ্জ-বাহুবলের ঘরে ঘরে গ্যাসের ও অন্যান্য দাবী পুরনে এবং শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য সংসদে কথা বলব। অবশেষে সকল মান অভিমান ভুলে আওয়ামীলীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী মহিলা সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী একই মঞ্চে মিলিত হয়ে বক্তব্য রাখায় সাধারন মানুষ সেটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর